শিরোনাম :
গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার! ইজ়রায়েলকে জবাব দিতে সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়ার কথাও ভুলতে চায় ইরান, এ বার কি পরমাণু যুদ্ধ?
ভেজাল মদ তৈরির কারখানার সন্ধান, গ্রেফতার ৬

ভেজাল মদ তৈরির কারখানার সন্ধান, গ্রেফতার ৬

ভেজাল মদ তৈরির কারখানার সন্ধান, গ্রেফতার ৬
ভেজাল মদ তৈরির কারখানার সন্ধান, গ্রেফতার ৬

অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ভেজাল মদপানে মৃত্যুর ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। এ সময় ভেজাল মদ তৈরির কারখানার সন্ধানসহ বিপুল পরিমাণ ভেজাল মদ ও মদ তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- মনতোষ চন্দ্র অধিকারী ওরফে আকাশ (৩৫), রেদুয়ান উল্লাহ (৩৫), সাগর বেপারী (২৭), নাসির আহমেদ ওরফে রুহুল (৪৮), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) ও সৈয়দ আল আমিন (৩০)।

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও ও ভাটারা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে গুলশান ডিবি পুলিশের একটি দল।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন মদপান করার পর অসুস্থ হয়ে ভাটারা থানা এলাকায় তিনজন, ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় একজন ও মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় দুইজনসহ মোট ছয়জনের মৃত্যু হয়। যা রাজধানীসহ দেশব্যাপী আলোড়ন তৈরি করে। এসব ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা রুজু হয়। উক্ত মামলাগুলো থানা পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ।

তদন্তে ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় মদপানে মৃত্যুর ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুইজন ব্যক্তি মোটরসাইকেলযোগে এসে এক বোতল মদ ভিকটিমকে দিয়ে চলে যায়। যা সেবন করে ভিকটিমের মৃত্যু হয়। পরবর্তী সময়ে ওই দুই ব্যক্তিকে শনাক্ত করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর সোমবার রাত ৯টার দিকে তেজগাঁওয়ের ইয়ানতুন চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সামনে হতে মনতোষ, রেদুয়ান ও সাগরকে গ্রেফতার করা হয়।

পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভাটারা থানার খিলবাড়িরটেক এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ভেজাল মদ তৈরির কারখানার সন্ধানসহ কারখানার মালিক নাসির, ম্যানেজার আল আমিন ও কারিগর জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় ভেজাল মদের কারখানা থেকে নকল বিদেশি মদ, মদের খালি বোতল, মদের বোতলের মুখ আটকানো কর্ক, স্টিকার, স্পিরিট, কৃত্রিম রঙসহ বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এই চক্রের মূলহোতা নাসির ভেজাল মদ তৈরি করে বিক্রি করতেন। সাম্প্রতিক সময়ে ওয়্যারহাউজগুলো থেকে মদ ক্রয়-বিক্রয়ে কড়াকড়ি থাকায় বাজারে মদের সঙ্কট তৈরি হয়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা ভেজাল মদ তৈরির কারখানা গড়ে তুলে। তারা ভেজাল মদ তৈরির উপকরণ স্পিরিট, স্টিকার ও রঙ মিটফোর্ট হাসপাতালের আশপাশ এলাকা থেকে সংগ্রহ করতেন। এরপর সেগুলো দিয়ে চিনি পোড়ানো কালার ব্যবহার করে ভেজাল মদ তৈরি করতেন। তৈরি করা ভেজাল মদ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের দিয়ে বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতেন তারা। তাদের মাধ্যমে ভেজাল মদ চলে যেত সেবনকারীদের কাছে।

মোহাম্মদপুর ও ভাটারা থানা এলাকায় মদপানে যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে সেগুলোও গ্রেফতারদের কারখানাতেই তৈরি করা ভেজাল মদ বলে গোয়েন্দা তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।

এ ঘটনায় গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

মতিহার বার্তা ডট কম: ০২ ফেব্রয়ারি ২০২১

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply